Gel D’Eau-de-vie De France

নির্দেশনা

হেপারিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট বা রক্ত পাতলা করার ঔষধ। এটি রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধা (থ্রম্বোসিস) প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস (DVT), পালমোনারি এমবোলিজম (PE), এবং অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশনের সাথে সম্পর্কিত থ্রম্বোএম্বোলিজমের মতো অবস্থার জন্য নির্দেশিত হয়। এছাড়াও, হার্ট সার্জারি, ডায়ালাইসিস এবং রক্ত পরিসঞ্চালনের সময় রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করতে এটি ব্যবহৃত হয়।

ফার্মাকোলজি

হেপারিন একটি প্রাকৃতিক গ্লাইকোস্যামিনোগ্লাইক্যান। এটি সরাসরি রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়। এর প্রধান কাজ হলো অ্যান্টিথ্রম্বিন III (Antithrombin III) নামক একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট প্রোটিনের কার্যকারিতা বহুগুণে বাড়িয়ে দেওয়া। সক্রিয় অ্যান্টিথ্রম্বিন III দ্রুত থ্রম্বিন (ফ্যাক্টর IIa) এবং ফ্যাক্টর Xa সহ অন্যান্য জমাট বাঁধার ফ্যাক্টরগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়, যার ফলে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।

মাত্রা

হেপারিনের মাত্রা রোগীর ওজন, বয়স, চিকিৎসার কারণ এবং রক্ত পরীক্ষার (যেমন aPTT) ফলাফলের উপর ভিত্তি করে একজন চিকিৎসক দ্বারা নির্ধারিত হয়।

শিরায় প্রয়োগ (Intravenous): সাধারণত একটি প্রাথমিক বোলস ডোজ (bolus dose) দেওয়া হয়, এরপর একটি নিয়ন্ত্রিত হারে 지속ীয় ইনফিউশন (continuous infusion) চালানো হয়।

ত্বকের নিচে ইনজেকশন (Subcutaneous): প্রতিরোধের জন্য, সাধারণত প্রতি ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা অন্তর ৫,০০০ ইউনিট করে ইনজেকশন দেওয়া হয়।

সেবনবিধি

হেপারিন ইনজেকশন হিসেবে শিরায় (intravenously) বা ত্বকের নিচে (subcutaneously) দেওয়া হয়। এটি কখনোই মাংসপেশিতে (intramuscularly) দেওয়া হয় না, কারণ এতে বড় ধরনের হেমাটোমা বা রক্তক্ষরণ হতে পারে। হাসপাতালে, এটি সাধারণত একটি ইনফিউশন পাম্পের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হারে শিরায় দেওয়া হয় যাতে রক্ত সঠিক মাত্রায় পাতলা থাকে।

কিভাবে কাজ করে

হেপারিন অ্যান্টিথ্রম্বিন III এর সাথে আবদ্ধ হয় এবং এর গঠনে একটি পরিবর্তন ঘটায়। এই পরিবর্তিত অ্যান্টিথ্রম্বিন III অত্যন্ত কার্যকরভাবে থ্রম্বিন এবং ফ্যাক্টর Xa-কে নিষ্ক্রিয় করে। থ্রম্বিন ফাইব্রিনোজেনকে ফাইব্রিনে রূপান্তরিত করতে পারে না, যা রক্ত জমাট বাঁধার মূল উপাদান। ফ্যাক্টর Xa নিষ্ক্রিয় হওয়ায় নতুন থ্রম্বিন তৈরি হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এভাবেই হেপারিন রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে।

কাজ করতে কত সময় লাগে?

শিরায় প্রয়োগ (IV): এর প্রভাব প্রায় তাৎক্ষণিক, কয়েক মিনিটের মধ্যেই শুরু হয়।

ত্বকের নিচে ইনজেকশন (SC): কাজ শুরু হতে প্রায় ২০ থেকে ৬০ মিনিট সময় লাগে।

শোষণ

হেপারিন পরিপাকতন্ত্র থেকে শোষিত হয় না, তাই এটি মুখে খাওয়া যায় না। ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হলে এটি সম্পূর্ণভাবে রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে।

ঔষধের মিথস্ক্রিয়া

অ্যান্টিপ্লেটলেট ঔষধ: অ্যাসপিরিন, ক্লোপিডোগ্রেলের মতো ঔষধের সাথে ব্যবহারে রক্তপাতের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

এনএসএআইডি (NSAIDs): আইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সেনের মতো ঔষধগুলিও রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

নাইট্রোগ্লিসারিন: শিরায় নাইট্রোগ্লিসারিন ব্যবহারে হেপারিনের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।

রোগ মিথস্ক্রিয়া

রক্তপাতজনিত ব্যাধি: সক্রিয় রক্তক্ষরণ বা হিমোফিলিয়ার মতো রক্তপাতজনিত ব্যাধি থাকলে হেপারিন ব্যবহার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

হেপারিন-ইনডিউসড থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া (HIT): যাদের পূর্বে HIT-এর ইতিহাস আছে, তাদের ক্ষেত্রে হেপারিন ব্যবহার করা যাবে না।

গুরুতর কিডনি বা লিভারের রোগ: এই রোগীদের ক্ষেত্রে হেপারিনের নির্মূল প্রক্রিয়া প্রভাবিত হতে পারে, তাই সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হয়।

খাদ্য মিথস্ক্রিয়া

সাধারণত হেপারিনের সাথে নির্দিষ্ট কোনো খাদ্য মিথস্ক্রিয়া নেই। তবে, ভিটামিন 'কে' সমৃদ্ধ খাবার (যেমন সবুজ শাকসবজি) রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে, যদিও এটি ওয়ারফারিনের মতো ঔষধের ক্ষেত্রে বেশি প্রাসঙ্গিক।

ব্যবহারের দিকনির্দেশনা

এটি শুধুমাত্র চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ব্যবহার করা উচিত। চিকিৎসা চলাকালীন, রক্তপাতের লক্ষণ (যেমন অস্বাভাবিক ক্ষত, মাড়ি বা নাক থেকে রক্তপাত, কালো বা রক্তাক্ত মল) পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার (aPTT) মাধ্যমে এর মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা হয়।

প্রতিনির্দেশনা

সক্রিয় অনিয়ন্ত্রিত রক্তক্ষরণ, হেপারিনের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা, এবং হেপারিন-ইনডিউসড থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া (HIT) এর ইতিহাস থাকলে হেপারিন ব্যবহার করা প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

এর সবচেয়ে সাধারণ এবং গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো রক্তক্ষরণ। অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে হেপারিন-ইনডিউসড থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া (HIT), ইনজেকশন স্থলে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া, অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া, এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে অস্টিওপোরোসিস (হাড়ের ক্ষয়)।

গর্ভাবস্থায় ব্যবহার

হেপারিন প্ল্যাসেন্টা বা গর্ভফুল অতিক্রম করে না, তাই এটি গর্ভাবস্থায় ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্টগুলির মধ্যে একটি। তবে এটি অবশ্যই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ব্যবহার করতে হবে।

স্তন্যদানকালে ব্যবহার

হেপারিন বুকের দুধে নিঃসৃত হয় না, তাই স্তন্যদানকালে এটি ব্যবহার করা নিরাপদ বলে মনে করা হয়।

বিষাক্ততা

হেপারিনের বিষাক্ততার প্রধান প্রকাশ হলো গুরুতর রক্তক্ষরণ।

সতর্কতা

অস্ত্রোপচারের আগে বা পরে, বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে, এবং যাদের রক্তপাতের ঝুঁকি বেশি, তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতার সাথে হেপারিন ব্যবহার করতে হবে।

মাত্রাধিক্যতা

হেপারিনের মাত্রাধিক্যতার ফলে জীবন-হুমকির মতো রক্তক্ষরণ হতে পারে। এর প্রধান লক্ষণ হলো অনিয়ন্ত্রিত রক্তপাত।

বিপরীত

হেপারিনের মাত্রাধিক্যতার জন্য নির্দিষ্ট প্রতিষেধক বা বিপরীত (antidote) হলো প্রোটামিন সালফেট (Protamine Sulfate)। এটি হেপারিনের সাথে আবদ্ধ হয়ে এর অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট প্রভাবকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এটি শুধুমাত্র জরুরি অবস্থায় চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে শিরায় প্রয়োগ করা হয়।

সংরক্ষণ

হেপারিন সাধারণত নিয়ন্ত্রিত কক্ষ তাপমাত্রায় (২০° থেকে ২৫° সেলসিয়াস) সংরক্ষণ করা হয়। এটিকে ফ্রিজ করা বা অতিরিক্ত গরমে রাখা উচিত নয়।

বিস্তারের আয়তন

হেপারিনের বিস্তারের আয়তন (Volume of Distribution) কম (প্রায় ০.০৬ লিটার/কেজি), কারণ এটি মূলত রক্তপ্রবাহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে এবং এন্ডোথেলিয়াল কোষ ও প্লাজমা প্রোটিনের সাথে আবদ্ধ হয়।

অর্ধ জীবন

এর অর্ধ-জীবন (Half-life) মাত্রার উপর নির্ভরশীল এবং সাধারণত ১ থেকে ২ ঘন্টা। উচ্চ মাত্রায় অর্ধ-জীবন দীর্ঘায়িত হতে পারে।

নির্মূল

হেপারিন দুটি প্রধান উপায়ে শরীর থেকে নির্মূল হয়: একটি দ্রুত, স্যাচুরেবল প্রক্রিয়া যা এন্ডোথেলিয়াল কোষ দ্বারা সম্পন্ন হয় এবং একটি ধীর, নন-স্যাচুরেবল প্রক্রিয়া যা কিডনির মাধ্যমে ঘটে।

নির্মূলের পথ

হেপারিন প্রধানত রেটিকুলোএন্ডোথেলিয়াল সিস্টেম (reticuloendothelial system) দ্বারা বিপাকিত হয় এবং এর বিপাকিত অংশগুলি কিডনির মাধ্যমে প্রস্রাবের সাথে নির্গত হয়।

ব্যবহার

ভোঁতা আঘাত, জমাট বাঁধা, কোগুলোপ্যাথি, খরচ, দ্বন্দ্ব, ডিসমিনেটেড ইন্ট্রাভাসকুলার কোগুলেশন (ডিআইসি), বাহ্যিক হেমোরয়েড, প্রদাহ, প্রদাহজনক, অ-সংক্রামক প্রুরিটিক ডার্মাটোসিস, স্থানে সিস্টাইতিস, পালমোনারি embolism, ST উচ্চতা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (STEMI), মোচ, থ্রম্বোইম্বোলিজম, থ্রম্বোসিস, শিরাস্থ, অস্থির এনজিনা পেক্টোরিস, শিরাস্থ thromboembolism, এমবোলাইজেশন, হেমাটোমাস, পেরিফেরাল ধমনী এমবোলিজম, মহান saphenous শিরা এর varicosities, IV ইনজেকশন ডিভাইসের পেটেন্সি রক্ষণাবেক্ষণ

Gel D’Eau-de-vie De France এর দাম কত? Gel D’Eau-de-vie De France এর দাম

Gel D’Eau-de-vie De France in Bangla
Gel D’Eau-de-vie De France in bangla
বাণিজ্যিক নাম Gel D’Eau-de-vie De France
জেনেরিক Heparin
ধরণ
পরিমাপ
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি
উৎপাদনকারী
উপলভ্য দেশ Switzerland
সর্বশেষ সম্পাদনা January 7, 2025 at 1:49 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

Gel D’Eau-de-vie De France খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

আরো বিস্তারিত দেখুন Gel D’Eau-de-vie De France

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সতর্কতা

মিথস্ক্রিয়া

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

বৈপরীত্য

অতিরিক্ত সতর্কতা

তীব্র ওভারডোজ

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

সংরক্ষণ

*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share