Capcitab Tablet 500 mg

সারসংক্ষেপ

কেপসিটাবিন (Capcitab Tablet 500 mg) একটি মুখে সেবনযোগ্য কেমোথেরাপি ঔষধ যা বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার, যেমন স্তন ক্যান্সার, কোলোরেক্টাল ক্যান্সার (বৃহদান্ত্র ও মলাশয়ের ক্যান্সার) এবং গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের (পাকস্থলীর ক্যান্সার) চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি একটি অ্যান্টিমেটাবোলাইট যা শরীরে প্রবেশ করার পর সক্রিয় ঔষধ ৫-ফ্লুরোইউরাসিল (5-FU)-এ রূপান্তরিত হয়। এটি ক্যান্সার কোষের ডিএনএ (DNA) তৈরিতে বাধা দিয়ে তাদের বৃদ্ধি এবং বিভাজনকে থামিয়ে দেয়।

ব্যাকগ্রাউন্ড

কেপসিটাবিন ১৯৯০-এর দশকে একটি প্রো-ড্রাগ হিসেবে বিকশিত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রচলিত কেমোথেরাপি ৫-ফ্লুরোইউরাসিলকে (যা শিরায় ইনজেকশনের মাধ্যমে দিতে হয়) একটি মুখে খাওয়ার ট্যাবলেটে রূপান্তরিত করা এবং ঔষধটিকে টিউমার কোষের মধ্যে আরও কার্যকরভাবে সক্রিয় করা, যার ফলে সুস্থ কোষের উপর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমানো সম্ভব হয়।

ইঙ্গিত

কেপসিটাবিন নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য নির্দেশিত:

  • মেটাস্ট্যাটিক স্তন ক্যান্সার (Metastatic Breast Cancer): অন্যান্য কেমোথেরাপি ব্যর্থ হওয়ার পর ব্যবহৃত হয়।
  • কোলোরেক্টাল ক্যান্সার (Colorectal Cancer): স্টেজ III কোলন ক্যান্সারের সহায়ক (adjuvant) চিকিৎসা হিসেবে এবং মেটাস্ট্যাটিক কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের চিকিৎসায়।
  • গ্যাস্ট্রিক, এসোফেজিয়াল এবং গ্যাস্ট্রোএসোফেজিয়াল জংশন ক্যান্সার: অ্যাডভান্সড বা মেটাস্ট্যাটিক পর্যায়ে।

Associated Conditions

এটি প্রায়শই রেডিয়েশন থেরাপির সাথে একত্রে (রেডিওসেনসিটাইজার হিসেবে) অথবা অন্যান্য কেমোথেরাপি ঔষধের সাথে কম্বিনেশন থেরাপিতে ব্যবহৃত হয়।

বিরোধীতা এবং ব্ল্যাকবক্স সতর্কতা

যাদের ডাইহাইড্রোপিরিমিডিন ডিহাইড্রোজেনেজ (DPD) এনজাইমের ঘাটতি রয়েছে, গুরুতর কিডনির সমস্যা আছে বা কেপসিটাবিন/৫-ফ্লুরোইউরাসিলের প্রতি গুরুতর অ্যালার্জি আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যাবে না।
ব্ল্যাকবক্স সতর্কতা: FDA এই ঔষধের জন্য একটি সতর্কতা জারি করেছে। এটি রক্ত পাতলা করার ঔষধ ওয়ারফারিনের (Warfarin) প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দেয়, যা গুরুতর রক্তপাতের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই, একত্রে ব্যবহারে নিবিড় পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।

ফার্মাকোডাইনামিক্স

কেপসিটাবিন শরীরে প্রবেশ করে এর সক্রিয় রূপ ৫-ফ্লুরোইউরাসিল (5-FU)-এ পরিণত হয়। 5-FU থাইমিডিলেট সিন্থেস (Thymidylate Synthase) নামক একটি এনজাইমকে বাধা দেয়, যা ডিএনএ (DNA) তৈরির জন্য অপরিহার্য। এর ফলে, ক্যান্সার কোষগুলো নতুন ডিএনএ তৈরি করতে পারে না, তাদের বৃদ্ধি থেমে যায় এবং কোষের মৃত্যু ঘটে।

কর্ম প্রক্রিয়া

কেপসিটাবিন একটি তিন-ধাপের এনজাইমেটিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সক্রিয় ৫-ফ্লুরোইউরাসিলে রূপান্তরিত হয়। এই প্রক্রিয়ার শেষ ধাপটি থাইমিডিন ফসফোরাইলেজ (Thymidine Phosphorylase) নামক এনজাইমের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, যা টিউমার কোষের মধ্যে সুস্থ কোষের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। এই কারণে, ঔষধটি টিউমার কোষের মধ্যে বেছে বেছে সক্রিয় হয় এবং কাজ করে।

মাত্রা

মাত্রা সাধারণত রোগীর শরীরের সারফেস এরিয়া (body surface area) অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। এটি একটি চক্রাকার পদ্ধতিতে দেওয়া হয়। একটি সাধারণ চক্র হলো ১৪ দিন ঔষধ গ্রহণ করা এবং এরপর ৭ দিন বিরতি দেওয়া। সাধারণ ডোজ হলো প্রতিদিন ১,০০০ থেকে ১,২৫০ মিলিগ্রাম/মি² দিনে দুইবার।

সেবনবিধি

ট্যাবলেটটি সকাল এবং সন্ধ্যায়, খাবার শেষ করার ৩০ মিনিটের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিয়ে সম্পূর্ণ গিলে ফেলুন। ট্যাবলেট ভাঙা, চিবানো বা গুঁড়ো করা যাবে না। যদি একটি ডোজ নিতে ভুলে যান, তবে সেই ডোজটি আর গ্রহণ করবেন না। পরবর্তী ডোজটি নির্ধারিত সময়ে গ্রহণ করুন। ভুলে যাওয়া ডোজ পূরণের জন্য একসাথে দুটি ডোজ গ্রহণ করবেন না।

কাজ করতে কত সময় লাগে?

এর কার্যকারিতা তাৎক্ষণিক নয়। চিকিৎসার প্রভাব মূল্যায়ন করার জন্য সাধারণত কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস সময় লাগে, যা টিউমারের আকার বা রোগের অন্যান্য লক্ষণ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে করা হয়।

শোষণ

মুখে সেবনের পর এটি পরিপাকতন্ত্র থেকে ভালোভাবে শোষিত হয়।

বিতরণের পরিমাণ

এর বিতরণের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম।

প্রোটিন বাইন্ডিং

কেপসিটাবিন এবং এর মেটাবোলাইটগুলো প্লাজমা প্রোটিনের সাথে কম মাত্রায় (<৬০%) আবদ্ধ থাকে।

বিপাক

এটি লিভার এবং শরীরের অন্যান্য টিস্যুতে (বিশেষ করে টিউমারে) বিপাকিত হয়ে এর সক্রিয় রূপ ৫-ফ্লুরোইউরাসিলে পরিণত হয়।

অর্ধ জীবন

কেপসিটাবিন এবং এর মেটাবোলাইটগুলোর অর্ধ-জীবন তুলনামূলকভাবে সংক্ষিপ্ত (প্রায় ০.৫ থেকে ১ ঘন্টা)।

নির্মূল

এর বিপাকীয় অবশিষ্টাংশগুলো প্রধানত কিডনির মাধ্যমে প্রস্রাবের সাথে শরীর থেকে নির্গত হয়।

ঔষধের মিথস্ক্রিয়া

ওয়ারফারিনের সাথে ব্যবহারে রক্তপাতের ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়। এটি ফেনিটোইন (Phenytoin) নামক খিঁচুনির ঔষধের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলিক অ্যাসিড বা লিউকოვোরিন এর বিষাক্ততা বাড়াতে পারে।

রোগ মিথস্ক্রিয়া

কিডনি বা লিভারের সমস্যা থাকলে ডোজ কমানোর প্রয়োজন হতে পারে। হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে সতর্কতা প্রয়োজন, কারণ এটি কার্ডিওটক্সিসিটি (হৃদযন্ত্রের ক্ষতি) করতে পারে।

খাদ্য মিথস্ক্রিয়া

এটি খাবারের ৩০ মিনিটের মধ্যে গ্রহণ করা উচিত, যা ঔষধের শোষণ বাড়ায় এবং পেটের অস্বস্তি কমায়।

ব্যবহারের দিকনির্দেশনা

আপনার হাতের তালু এবং পায়ের তলায় কোনো ব্যথা, ফোলা বা লালচে ভাব (হ্যান্ড-ফুট সিনড্রোম) দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসককে জানান। দিনে ৪ বারের বেশি ডায়রিয়া হলে বা তীব্র বমি হলে চিকিৎসা সহায়তা নিন। মুখে ঘা হলে নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন এবং মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। চিকিৎসা চলাকালীন রক্ত পরীক্ষা (CBC) করা আবশ্যক, কারণ এটি রক্তকণিকার সংখ্যা কমাতে পারে।

প্রতিনির্দেশনা

ডাইহাইড্রোপিরিমিডিন ডিহাইড্রোজেনেজ (DPD) এনজাইমের ঘাটতি থাকলে, গুরুতর কিডনি বিকল হলে, বা ওয়ারফারিনের সাথে একত্রে ব্যবহারের প্রয়োজন হলে (যদি পর্যবেক্ষণ সম্ভব না হয়) এটি ব্যবহার করা যাবে না।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো হ্যান্ড-ফুট সিনড্রোম, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, বমি, মুখে ঘা (stomatitis), পেটে ব্যথা এবং ক্লান্তি।

বিরূপ প্রভাব

গুরুতর বিরূপ প্রভাবের মধ্যে রয়েছে তীব্র ডায়রিয়া যা ডিহাইড্রেশন ঘটাতে পারে, মায়োলোসাপ্রেশন (অস্থিমজ্জার কার্যকারিতা হ্রাস), কার্ডিওটক্সিসিটি, এবং গুরুতর ত্বকের প্রতিক্রিয়া।

গর্ভাবস্থায় ব্যবহার

এটি গর্ভাবস্থায় কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, কারণ এটি ভ্রূণের গুরুতর ক্ষতি বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। চিকিৎসা চলাকালীন নারী ও পুরুষ উভয়কেই কার্যকর গর্ভনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।

স্তন্যদানকালে ব্যবহার

এটি মায়ের বুকের দুধে নিঃসৃত হয় কিনা তা জানা যায়নি, তবে শিশুর উপর গুরুতর ঝুঁকির কারণে চিকিৎসা চলাকালীন এবং শেষ ডোজের পর কমপক্ষে ২ সপ্তাহ স্তন্যপান করানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

বিষাক্ততা

এর বিষাক্ততা মূলত এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোর তীব্রতার সাথে সম্পর্কিত, বিশেষ করে ডায়রিয়া এবং মায়োলোসাপ্রেশন।

সতর্কতা

হ্যান্ড-ফুট সিনড্রোম এবং ডায়রিয়ার প্রথম লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসা বন্ধ করে পরামর্শ নিতে হবে। রক্ত পরীক্ষা এবং কিডনির কার্যকারিতা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা আবশ্যক।

মাত্রাধিক্যতা

মাত্রাধিক্যতার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে তীব্র বমি, ডায়রিয়া, রক্তপাত এবং অস্থিমজ্জার কার্যকারিতা মারাত্মকভাবে হ্রাস পাওয়া।

বিপরীত

এর একটি নির্দিষ্ট প্রতিষেধক (antidote) হলো ইউরিডিন ট্রাইঅ্যাসিটেট (Uridine Triacetate), যা মাত্রাধিক্যতা বা গুরুতর বিষাক্ততার ক্ষেত্রে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্যবহার করতে হয়।

সংরক্ষণ

ঔষধটি ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় (৩০° সেলসিয়াসের নিচে), শুষ্ক স্থানে এবং আলো থেকে দূরে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

ব্যবহার

ডিউকের সি কোলন ক্যান্সার, খাদ্যনালী ক্যান্সার, হেপাটোবিলিয়ারি ক্যান্সার, পেটের ম্যালিগন্যান্ট নিওপ্লাজম, মেটাস্ট্যাটিক স্তন ক্যান্সার, মেটাস্ট্যাটিক কোলোরেক্টাল কার্সিনোমা, অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার মেটাস্ট্যাটিক, অবাধ্য ফ্যালোপিয়ান টিউব কার্সিনোমা, মেটাস্ট্যাটিক প্যানক্রিয়াটিক এন্ডোক্রাইন কার্সিনোমা, অবাধ্য ওভারিয়ান ক্যান্সার, অবাধ্য পেরিটোনিয়াল ক্যান্সার, অবাধ্য, মেটাস্ট্যাটিক কোলোরেক্টাল কার্সিনোমা

Capcitab Tablet 500 mg এর দাম কত? Capcitab Tablet 500 mg এর দাম Unit Price: ৳ 125.00 (7 x 4: ৳ 3,500.00) Strip Price: ৳ 500.00

Capcitab Tablet 500 mg in Bangla
Capcitab Tablet 500 mg in bangla
বাণিজ্যিক নাম Capcitab Tablet 500 mg
জেনেরিক Capecitabine
ধরণ Tablet
পরিমাপ 500 mg
দাম Unit Price: ৳ 125.00 (7 x 4: ৳ 3,500.00) Strip Price: ৳ 500.00
চিকিৎসাগত শ্রেণি
উৎপাদনকারী Eskayef Pharmaceuticals Ltd.
উপলভ্য দেশ Bangladesh
সর্বশেষ সম্পাদনা January 7, 2025 at 1:49 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

Capcitab Tablet 500 mg খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

আরো বিস্তারিত দেখুন Capcitab Tablet 500 mg

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সতর্কতা

মিথস্ক্রিয়া

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

বৈপরীত্য

অতিরিক্ত সতর্কতা

তীব্র ওভারডোজ

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

সংরক্ষণ

*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share