Myoprox
নির্দেশনা
Naproxen Sodium একটি অ-স্টেরয়েডাল প্রদাহনাশক ওষুধ (NSAID)। এটি ব্যথা, জ্বর এবং প্রদাহ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। যেমন: বাত, মাসল পেইন, দাঁতের ব্যথা, মাসিকের ব্যথা এবং অন্যান্য হালকা থেকে মাঝারি ব্যথার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
ফার্মাকোলজি
Naproxen একটি প্রপিওনিক অ্যাসিড ডেরিভেটিভ NSAID। এটি COX-1 ও COX-2 এনজাইম ব্লক করে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন সংশ্লেষণ রোধ করে, যা প্রদাহ, ব্যথা ও জ্বরের জন্য দায়ী।
মাত্রা
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাধারণ মাত্রা: 250-500 মিগ্রা প্রতি ১২ ঘণ্টায়। সর্বোচ্চ দৈনিক ডোজ 1000 মিগ্রা। অস্থিসন্ধির প্রদাহে (arthritis) বা মাসিক ব্যথায় প্রথম ডোজ 500 মিগ্রা এবং পরে 250 মিগ্রা প্রতি ৬-৮ ঘণ্টায়।
সেবনবিধি
খাবারের পরে বা দুধের সঙ্গে খাওয়া উচিত যাতে পাকস্থলীর ঝুঁকি কমে। পর্যাপ্ত পানি দিয়ে গ্রহণ করতে হবে।
কিভাবে কাজ করে
Naproxen শরীরে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নামক রাসায়নিক পদার্থের উৎপাদন কমিয়ে ব্যথা ও প্রদাহ কমায়। এটি COX এনজাইম ইনহিবিট করে কাজ করে।
কাজ করতে কত সময় লাগে?
ওষুধ সেবনের ৩০ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে কাজ শুরু করে এবং সর্বোচ্চ প্রভাব ২-৪ ঘণ্টার মধ্যে দেখা যায়।
শোষণ
মুখে গ্রহণের পর দ্রুত শোষিত হয়। খাবার খাওয়ার পরে শোষণের হার কিছুটা কমে যেতে পারে, তবে এটি সামগ্রিক কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে না।
ঔষধের মিথক্রিয়া
অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট (যেমন: Warfarin), ACE ইনহিবিটর, লিথিয়াম, মেথোট্রেক্সেট, ও কিছু ডায়িউরেটিকের সঙ্গে মিথক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
রোগ মিথস্ক্রিয়া
পেপটিক আলসার, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যাজমা, লিভার বা কিডনি রোগ থাকলে ব্যবহার সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে।
খাদ্য মিথস্ক্রিয়া
খাবারের সাথে গ্রহণ করলে পাকস্থলীর উপর ক্ষতিকর প্রভাব কমে। অ্যালকোহলের সঙ্গে সেবনে গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ব্যবহারের দিকনির্দেশনা
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নির্ধারিত ডোজ ও সময় মেনে চলা উচিত। দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারে নিয়মিত কিডনি ও লিভার ফাংশন পরীক্ষা করা উচিত।
প্রতিনির্দেশনা
পেপটিক আলসার, রক্তপাতের ইতিহাস, অ্যাসপিরিন-সংবেদনশীলতা, গুরুতর কিডনি বা লিভার রোগে Naproxen ব্যবহার নিষেধ।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা, গ্যাস, ডায়ারিয়া, মাথাব্যথা, চর্মরোগ (র্যাশ), রক্তচাপ বৃদ্ধি, কিডনি ফাংশনের সমস্যা, এবং বিরল ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক ব্লিডিং দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ব্যবহার
গর্ভাবস্থার শেষ ত্রৈমাসিকে Naproxen ব্যবহার এড়ানো উচিত। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শুরুতে সীমিতভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
স্তন্যদানকালে ব্যবহার
অল্প পরিমাণে স্তন্যদুগ্ধে যায়, তবে ক্ষতিকর প্রভাব কম। চিকিৎসকের পরামর্শে সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিষাক্ততা
অতিরিক্ত মাত্রায় মাথা ঘোরা, বমি, পেটব্যথা, অজ্ঞান হওয়া, শ্বাসকষ্ট এবং কিডনি সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিষাক্ততার ক্ষেত্রে চিকিৎসা জরুরি।
সতর্কতা
হৃদরোগ, গ্যাস্ট্রিক, রক্তপাতের ইতিহাস, এবং প্রবীণদের ক্ষেত্রে ব্যবহার সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারে রক্ত ও কিডনি পরীক্ষা করাতে হবে।
মাত্রাধিক্যতা
১ গ্রাম এর বেশি সেবনে বিষক্রিয়া হতে পারে। এর ফলে বমি, ঘুম ঘুম ভাব, পাকস্থলীর রক্তপাত এবং স্নায়বিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিপরীত
হঠাৎ বন্ধ করলে তেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না, তবে দীর্ঘদিন ব্যবহারের পর বন্ধ করলে ব্যথা বা প্রদাহ ফিরে আসতে পারে।
সংরক্ষণ
২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায়, শুকনো ও আলোবিহীন স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে।
বিস্তারের আয়তন
প্রায় ০.১৬ লিটার/কেজি, যা শরীরের বিভিন্ন টিস্যুতে সীমিতভাবে বিতরণ হয়।
অর্ধ জীবন
প্রায় ১২-১৭ ঘণ্টা, তাই দিনে ২ বার সেবন যথেষ্ট।
নির্মূল
প্রধানত লিভারে মেটাবলাইজ হয়ে প্রস্রাবের মাধ্যমে নির্মূল হয়।
নির্মূলের পথ
প্রস্রাবের মাধ্যমে প্রায় ৯৫% নির্মূল হয়, যা মূলত ইনঅ্যাকটিভ মেটাবোলাইট আকারে থাকে।
ব্যবহার
ন্যাপ্রোক্সেন নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত- রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস অস্টিওআর্থ্রাইটিস অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস জুভেনাইল আর্থ্রাইটিস টেন্ডোনাইটিস বার্সাইটিস গেটে বাতের লক্ষণসমূহ নিরাময়ে এছাড়াও প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া এবং ব্যথার চিকিৎসায় এটি ব্যবহৃত হয়।Myoprox এর দাম কত? Myoprox এর দাম

সুচিপত্র
বাণিজ্যিক নাম | Myoprox |
জেনেরিক | ন্যাপ্রক্সেন সোডিয়াম |
ধরণ | |
পরিমাপ | |
দাম | |
চিকিৎসাগত শ্রেণি | |
উৎপাদনকারী | |
উপলভ্য দেশ | Egypt |
সর্বশেষ সম্পাদনা | January 7, 2025 at 1:49 am |
খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
Myoprox খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিস এবং অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিসঃ দৈনিক স্বাভাবিকমাত্রা ৫০০-১০০০ মিঃগ্রাঃ খাওয়ার পর দুইটি বিভক্ত মাত্রায়।ব্যথা, প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া, তীব্র টেন্ডোনাইটিস এবং বার্সাইটিসঃ অনুমোদিত প্রারম্ভিক মাত্রা ৫০০ মিঃগ্রাঃ এবং পরবর্তী মাত্রা ৫০০ মিঃগ্রাঃ করে ১২ ঘন্টা পরপর অথবা ২৫০ মিঃগ্রাঃ করে ৬-৮ ঘন্টা পরপর। তবে মোট প্রারম্ভিক মাত্রা দৈনিক ১২৫০ মিঃগ্রাঃ এর বেশী এবং পরবর্তী মাত্রা দৈনিক ১০০০ মিঃগ্রাঃ এর বেশী হওয়া উচিত নয়।গেটে বাতঃ অনুমোদিত প্রারম্ভিক মাত্রা ৭৫০ মিঃগ্রাঃ এবং পরবর্তী মাত্রা ২৫০ মিঃগ্রাঃ করে ৮ ঘন্টা পরপর, যতদিন ব্যথা না কমে। US FDA প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরী অনুযায়ী ন্যাপ্রোক্সেন C শ্রেণীভুক্ত ঔষধ। সুতরাং, প্রত্যাশিত সুবিধা ভ্রূণের ঝুঁকির চেয়ে বেশী না হলে গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ন্যাপ্রোক্সেন ব্যবহারে বিরত থাকা উচিত।আরো বিস্তারিত দেখুন Myoprox