Nimsim Af

Nimsim Af একটি নন-স্টেরয়ডাল জাতীয় ঔষধ যার প্রদাহবিরোধী ও ব্যথানাশক কার্যকারিতা আছে। এটি সাইক্লোঅক্সিজিনেজ এনজাইমের একটি শক্তিশালী প্রতিবন্ধক যা প্রোস্ট্যাগ্ল্যান্ডিন তৈরীর সাথে জড়িত। মুখে সেবনের পর এটি দ্রুত ও সম্পূর্ণরুপে অপরিবর্তিত অবস্থায় পরিশোষিত হয়।

ব্যবহার

অস্টিওআরথ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস ও এনকাইলােজিং স্পনডাইলিটিসের ব্যথা ও প্রদাহ দূর করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

Nimsim Af একিউট ও ক্রনিক ব্যাথা ও প্রদাহ যেমন অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অ্যানকাইলোসিং স্পনডিলাইটিস, দাঁতে ব্যাথা, পোস্ট ট্রমাটিক ব্যাথা, পিঠের নিচের দিকে ব্যাথা, গাইনোকোলজিক্যাল ব্যাথা ইত্যাদি নিরাময়ের জন্য নির্দেশিত।

Nimsim Af এর দাম কত? Nimsim Af এর দাম

Nimsim Af in Bangla
Nimsim Af in bangla
বাণিজ্যিক নাম Nimsim Af
জেনেরিক এসিক্লোফেনাক
ধরণ Syrup
পরিমাপ 50mg
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি Aceclofenac is a non-steroidal agent with marked anti-inflammatory and analgesic properties. The mode of action of aceclofenac is largely based on the inhibition to prostaglandin synthesis. Aceclofenac is a potent inhibitor of the enzyme cyclo-oxygenase, which is involved in the production of prostaglandins.
উৎপাদনকারী Zen Labs India
উপলভ্য দেশ India
সর্বশেষ সম্পাদনা January 7, 2025 at 1:49 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

Nimsim Af খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

প্রাপ্ত বয়স্ক: সর্বোচ্চ মাত্রা হল দৈনিক ২০০ মিগ্রা; যা ১০০ মি্গ্রা. এর ২ টি বিভক্ত মাত্রায় সেব্য। ১ টি ট্যাবলেট সকালে, অপরটি সন্ধ্যায়।

শিশু: শিশুদের ক্ষেত্রে Nimsim Af ব্যবহারের কোনো ক্লিনিক্যাল তথ্য পাওয়া যায়নি।

বয়োবৃদ্ধ: বয়োবৃদ্ধ রোগীদের ক্ষেত্রে Nimsim Afের ফার্মাকোকাইনেটিকস পরিবর্তন হয়না বিধায় এর মাত্রা ও মাত্রার হার পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।

বৃক্কের অসমকার্যকারিতায়: বৃক্কের মৃদু অসমকার্যকারিতার রোগীদের ক্ষেত্রে Nimsim Afের মাত্রা পরিবর্তনের কোনো প্রমান নেই।

যকৃতের অসমকার্যকারিতায়: যকৃতের অসমকার্যকারিতার রোগীদের ক্ষেত্রে Nimsim Afের মাত্রা কমানো উচিত। দৈনিক প্রারম্ভিক মাত্রা ১০০ মিগ্রা. সেবন করা উচিত।

এসআর ট্যাবলেট:দৈনিক ১ টি ২০০ মিগ্রা. ট্যাবলেট সেব্য।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

বদ হজম, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়া। কখনও কখনও মাথা ঘােরা দেখা দিতে পারে। চামড়ায় পুরাইটাস ও ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। হেপাটিক এনজাইমের কিছু গােলযােগ দেখা দিতে পারে। খুবই কম ক্ষেত্রে রক্তে ক্রিয়াটিনিনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

সতর্কতা

গ্যাস্ট্রিক আলসার আছে বা ধারণা করা হচ্ছে এমন সব রোগী বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ব্লিডিং আছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে এবং যেসব রোগীর লিভার এবং হৃদযন্ত্রীয় বা বৃক্কীয় সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মাথাঘোরা অথবা আর্টিক্যারিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

মিথস্ক্রিয়া

উল্লেখযোগ্য কোন ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে-

  • লিথিয়াম ও ডিগক্সিন: লিথিয়াম ও ডিগক্সিনের প্লাজমা ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে পারে।
  • ডাইইউরেটিক্স: ডাইইউরেটিক্সের সাথে মিথস্ক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
  • এন্টিকোয়াগোলেন্ট: এন্টিকোয়াগোলেন্টের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে পারে।
  • মিথোট্রিক্সেট: মিথোট্রিক্সেটের প্লাজমা ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে পারে।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

গর্ভাবস্থায়: গর্ভাবস্থায় Nimsim Af ব্যবহারের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। একান্ত বাধ্য না হলে গর্ভাবস্থায় Nimsim Af ব্যবহার করা উচিত নয়। সবচেয়ে কম কার্যকরী মাত্রা সেবন করা উচিত।

স্তন্যদানকালে: মাতৃদুগ্ধে Nimsim Af নিঃসরণের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই স্তন্যদানকালে Nimsim Afের ব্যাবহার এড়িয়ে চলা উচিত যদি না বাচ্চার ঝুঁকির চেয়ে মায়ের উপকার বেশি প্রতিয়মান হয়।

বৈপরীত্য

যাদের পেপটিক আলসার আছে কিংবা যাদের অন্ত্রে রক্তরণের লক্ষণ আছে তাদের ক্ষেত্রে এটা ব্যবহার করা যাবে। যাদের মাঝারী থেকে তীব্র রকমের কিডনী সমস্যা বিদ্যমান তাদের এটা ব্যবহার করা যাবে না। যারা যকৃ তের তীব্র সমস্যায় ভুগছেন তাদের এটা দেওয়া যাবে না। খুবই বাধ্য না হলে গর্ভাবস্থায় এটা দেওয়া যাবে। Nimsim Afের প্রতি সংবেদনশীল রােগীদের ক্ষেত্রে এটা দেওয়া যাবে না। অ্যাসপিরিন কিংবা অন্য কোন নন-স্টেরয়ডাল এন্টি-ইনফ্লামেটরী ওষুধ দেওয়ার ফলে যাদের অ্যাজমা বেড়ে যায় কিংবা তীব্র রাইনাইটিস বা আর্টিকারিয়া দেখা যায় তাদের ক্ষেত্রে এটা দেওয়া যাবে না।

অতিরিক্ত সতর্কতা

তীব্র ওভারডোজ

মানুষের ক্ষেত্রে Nimsim Afের মাত্রাধিক্যের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। মাত্রাধিক্যের পর নিম্নলিখিত চিকিৎসা পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে; যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্টোমাক ওয়াশের মাধ্যমে পরিশোষন প্রতিরোধ করা উচিত। জটিল ক্ষেত্রে সহযোগীমুলক ও সিম্পটোমেটিক চিকিৎসা দেয়া উচিত।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

লিথিয়াম, ডিগক্সিন, ডাইইউরেটিক্স, এন্টি-কোয়াগুলান্ট এবং মিথােট্রেক্সেট।

ডাই-ইউরেটিকস সমুহ: অন্যান্য ব্যাথার ঔষধের মত Nimsim Af, ডাই-ইউরেটিকস সমূহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে পারে।

এন্টিকোয়াগুলেন্ট সমুহ: অন্যান্য ব্যাথার ঔষধের মত Nimsim Af, এন্টিকোয়াগুলেন্ট সমূহের বৃদ্ধি করতে পারে।

কুইনোলন সমুহ: কুইনোলন এবং ব্যাথার ঔষধের ইন্টার‌্যাকশনের কারণে খিঁচুনী হতে পারে।অন্যান্য ব্যাথার ঔষধ ও স্টেরয়েড সমুহ: অ্যাসপিরিন, অন্যান্য ব্যাথার ঔষধ এবং স্টেরয়েডসমূহের সাথে একত্রে সেবন করলে পার্শ প্রতিক্রিয়ার হার বৃদ্ধি পেতে পারে।

সংরক্ষণ

হালকা এবং আর্দ্রতা থেকে সুরক্ষিত একটি শীতল এবং শুকনো স্থানে রাখুন।

*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share