BOTULINUM NEUROTOXIN B IMMUNE FAB2

নির্দেশনা

Equine Botulinum Neurotoxin B Immune F(ab')2 (অশ্ব থেকে প্রাপ্ত বোটুলিনাম নিউরোটক্সিন বি ইমিউন এফএবি২) প্রধানত বোটুলিজম (botulism) রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়, যা ক্লস্ট্রিডিয়াম বোটুলিনাম (Clostridium botulinum) টাইপ বি দ্বারা নিঃসৃত নিউরোটক্সিনের কারণে সৃষ্ট হয়। এটি একটি অ্যান্টিটক্সিন যা শরীরে প্রবেশ করা টক্সিনকে নিষ্ক্রিয় করে।

ফার্মাকোলজি

এটি একটি ইমিউন গ্লোবুলিন ফ্র্যাগমেন্ট যা ঘোড়ার প্লাজমা থেকে তৈরি। ঘোড়াকে বোটুলিনাম টক্সিন টাইপ বি দিয়ে ইমিউনাইজ করার পর, তাদের রক্ত থেকে অ্যান্টিবডি সংগ্রহ করা হয় এবং পেপসিন দ্বারা হজম করে F(ab')2 ফ্র্যাগমেন্ট তৈরি করা হয়। এই ফ্র্যাগমেন্টগুলি রক্তপ্রবাহে থাকা বোটুলিনাম নিউরোটক্সিন বি এর সাথে আবদ্ধ হয় এবং সেটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়, যার ফলে টক্সিনটি স্নায়ু প্রান্তে পৌঁছাতে পারে না।

মাত্রা

এর মাত্রা এবং প্রয়োগের সিদ্ধান্ত একজন চিকিৎসক দ্বারা বোটুলিজমের সন্দেহ বা নিশ্চিত নির্ণয়ের উপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়। এটি সাধারণত একটি একক শিরায় ডোজ হিসেবে দেওয়া হয়।

সেবনবিধি

এটি শুধুমাত্র হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর তত্ত্বাবধানে একটি ধীর শিরায় ইনফিউশন (slow intravenous infusion) হিসেবে প্রয়োগ করা হয়। প্রয়োগের আগে হাইপারসেন্সিটিভিটি বা অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করার জন্য স্কিন টেস্ট করা হতে পারে।

কিভাবে কাজ করে

অ্যান্টিটক্সিনের F(ab')2 ফ্র্যাগমেন্টগুলি রক্তে সঞ্চালিত বোটুলিনাম টক্সিন বি-কে খুঁজে বের করে এবং তার সাথে আবদ্ধ হয়। এই আবদ্ধ হওয়ার ফলে টক্সিনটি স্নায়ু কোষের টার্মিনালে পৌঁছাতে এবং অ্যাসিটাইলকোলিন (acetylcholine) নিঃসরণে বাধা দিতে পারে না। এটি ইতিমধ্যে স্নায়ুতে আবদ্ধ টক্সিনের প্রভাবকে বিপরীত করতে পারে না, তবে এটি রোগের আরও অগ্রগতি রোধ করে।

কাজ করতে কত সময় লাগে?

শিরায় প্রয়োগ করার সাথে সাথেই এটি রক্তপ্রবাহে থাকা টক্সিনকে নিষ্ক্রিয় করতে শুরু করে। তবে, রোগীর ক্লিনিকাল উন্নতি (যেমন পেশীর শক্তি ফিরে আসা) হতে কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে, কারণ শরীরকে ক্ষতিগ্রস্ত স্নায়ুগুলি মেরামত করতে হয়।

শোষণ

যেহেতু এটি সরাসরি শিরায় দেওয়া হয়, তাই এর শোষণ বা জৈব উপলভ্যতা (bioavailability) ১০০%।

ঔষধের মিথস্ক্রিয়া

এর সাথে অন্য ঔষধের মিথস্ক্রিয়া নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক গবেষণা করা হয়নি।

রোগ মিথস্ক্রিয়া

যাদের ঘোড়ার প্রোটিনের প্রতি গুরুতর অ্যালার্জির ইতিহাস আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

খাদ্য মিথস্ক্রিয়া

এটি একটি ইনজেক্টেবল ঔষধ হওয়ায় এর কোনো খাদ্য মিথস্ক্রিয়া নেই।

ব্যবহারের দিকনির্দেশনা

এটি শুধুমাত্র জরুরি অবস্থায় এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ব্যবহার করা উচিত। প্রয়োগের সময় এবং পরে রোগীকে গুরুতর অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়ার জন্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।

প্রতিনির্দেশনা

ঘোড়ার প্রোটিনের প্রতি পরিচিত গুরুতর অতিসংবেদনশীলতা (anaphylaxis) থাকলে এটি ব্যবহার করা প্রতিনির্দেশিত। তবে, বোটুলিজমের মতো একটি জীবন-হুমকির পরিস্থিতিতে, ঝুঁকি এবং উপকারের অনুপাত বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

এর প্রধান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো অতিসংবেদনশীল বা অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া। এর মধ্যে রয়েছে জ্বর, কাঁপুনি, ত্বকে ফুসকুড়ি, নিম্ন রক্তচাপ এবং অ্যানাফিল্যাক্সিস। এছাড়াও, কয়েক দিন বা সপ্তাহ পরে সিরাম সিকনেস (serum sickness) হতে পারে, যার লক্ষণ হলো জ্বর, জয়েন্টে ব্যথা এবং ফুসকুড়ি।

গর্ভাবস্থায় ব্যবহার

গর্ভাবস্থায় এর নিরাপত্তা সম্পর্কিত তথ্য সীমিত (প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরি C)। বোটুলিজম মা এবং ভ্রূণ উভয়ের জন্যই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ, তাই এটি শুধুমাত্র অপরিহার্য প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়।

স্তন্যদানকালে ব্যবহার

এটি বুকের দুধে নিঃসৃত হয় কিনা তা জানা যায়নি। তাই, স্তন্যদানকালে এটি ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

বিষাক্ততা

এর বিষাক্ততা মূলত অতিসংবেদনশীল প্রতিক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত।

সতর্কতা

মারাত্মক অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকির কারণে, এটি প্রয়োগ করার সময় জরুরি চিকিৎসার (যেমন অ্যাড্রেনালিন) ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে হবে।

মাত্রাধিক্যতা

মাত্রাধিক্যতার কোনো অভিজ্ঞতা রিপোর্ট করা হয়নি। চিকিৎসা মূলত সহায়ক হবে।

বিপরীত

এই অ্যান্টিটক্সিনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষেধক বা বিপরীত (antidote) নেই।

সংরক্ষণ

এটি রেফ্রিজারেটরে ২° থেকে ৮° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। এটিকে ফ্রিজ করা যাবে না।

বিস্তারের আয়তন

এটি প্রধানত রক্তপ্রবাহ বা প্লাজমার মধ্যেই বণ্টিত থাকে।

অর্ধ জীবন

এর অর্ধ-জীবন (Half-life) পরিবর্তনশীল।

নির্মূল

এটি রেটিকুলোএন্ডোথেলিয়াল সিস্টেম (reticuloendothelial system) দ্বারা শরীর থেকে পরিষ্কার হয়।

নির্মূলের পথ

অন্যান্য প্রোটিনের মতোই, এটি ক্যাটাবলিজম বা ভাঙনের মাধ্যমে শরীর থেকে নির্গত হয়।